রায়পুরের জমিদারের দুই মেয়ে। তিনি মৃত্যুর আগে ছোট মেয়ের ছেলেকে জমিদারি ক্ষমতা দেন। ফলে তাঁর বড় মেয়ে ও বড় মেয়ের ছেলে লোভী ও স্বার্থপর কর্মচারীদের নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে। অবশেষে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে তাঁদের জমিদারির ক্ষমতা চলে যায়।
উদ্দীপকে নির্দেশিত কোম্পানি বা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে গৃহীত বিভিন্ন কাজ উক্ত কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রাখে।
১৭৫৭ সালে ২৩শে জুন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ১৭৬৫ সালে রবার্ট ক্লাইভ বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন। দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসনব্যবস্থা চালু করেন। ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনকে স্থায়ী রূপ দিতে তারা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডও গ্রহণ করেছিলেন। উদ্দীপকে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে জমিদারি চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে নির্দেশ করছে। এ কোম্পানি তার শাসনামলে নানা কাজ করে যা তাদের আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্র ও প্রশাসন পচিালনায় ইংরেজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময়ে ইংরেজ গভর্নর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ও লর্ড হার্ডিঞ্জ এদেশে শিক্ষা বিস্তারসহ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সূচনা করেন। এছাড়া সতীদাহ প্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ এবং বিধবা বিবাহ প্রবর্তনসহ সামাজিক কুপ্রথা নির্ধারণে রাজা রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো বাঙালিদের উদ্যোগকে তারা সহযোগিতা দেন। তাদের শাসনামলে দেশে একটি নতুন শিক্ষিত শ্রেণি ও নাগরিক সমাজ গড়ে উঠলেও বৃহত্তর বাঙালি সমাজ ইংরেজ কোম্পানির শাসনে প্রকৃতপক্ষে শোষিত হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। আর এ কারণেই আমি প্রশ্নোক্ত উক্তিটিকে সমর্থন করি।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?