Academy

রায়পুরের জমিদারের দুই মেয়ে। তিনি মৃত্যুর আগে ছোট মেয়ের ছেলেকে জমিদারি ক্ষমতা দেন। ফলে তাঁর বড় মেয়ে ও বড় মেয়ের ছেলে লোভী ও স্বার্থপর কর্মচারীদের নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি করে। অবশেষে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে তাঁদের জমিদারির ক্ষমতা চলে যায়।

উদ্দীপকে নির্দেশিত কোম্পানির শাসন আমলের গৃহীত কাজ এদেশে কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রাখে- বিশ্লেষণ কর। (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

উদ্দীপকে নির্দেশিত কোম্পানি বা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে গৃহীত বিভিন্ন কাজ উক্ত কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রাখে।
১৭৫৭ সালে ২৩শে জুন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ১৭৬৫ সালে রবার্ট ক্লাইভ বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন। দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসনব্যবস্থা চালু করেন। ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনকে স্থায়ী রূপ দিতে তারা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডও গ্রহণ করেছিলেন। উদ্দীপকে এক বিদেশি কোম্পানির হাতে জমিদারি চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে নির্দেশ করছে। এ কোম্পানি তার শাসনামলে নানা কাজ করে যা তাদের আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্র ও প্রশাসন পচিালনায় ইংরেজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময়ে ইংরেজ গভর্নর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ও লর্ড হার্ডিঞ্জ এদেশে শিক্ষা বিস্তারসহ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সূচনা করেন। এছাড়া সতীদাহ প্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ এবং বিধবা বিবাহ প্রবর্তনসহ সামাজিক কুপ্রথা নির্ধারণে রাজা রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো বাঙালিদের উদ্যোগকে তারা সহযোগিতা দেন। তাদের শাসনামলে দেশে একটি নতুন শিক্ষিত শ্রেণি ও নাগরিক সমাজ গড়ে উঠলেও বৃহত্তর বাঙালি সমাজ ইংরেজ কোম্পানির শাসনে প্রকৃতপক্ষে শোষিত হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। আর এ কারণেই আমি প্রশ্নোক্ত উক্তিটিকে সমর্থন করি।

3 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...